এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত।
“>
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত।
দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
গণনাকারী ও প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপস্থাপন করাই ইসির অঙ্গীকার, যেখান থেকে ভোটাররা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল”। নগরীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়করা।
নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চনা দূর করার দায়িত্ব নিয়েছি। যারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের যন্ত্রণা দূর করতে চাই।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে সিইসি বলেন, এটি একটি ক্রান্তিকাল এবং সরকার ও নির্বাচন কমিশন উভয়ের কাছ থেকে দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক।
১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক সংস্কার বাস্তবায়িত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন আইনি কাঠামোতে সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা সেই লক্ষ্যগুলো নিয়ে কাজ করছি।
দেশব্যাপী ডোর টু ডোর সম্ভাব্য ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি, তিনি এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান এল মাসুদ সঠিক ভোটার তালিকাকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পরিশ্রমের সাথে কাজ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমেদ বলেছেন, ইসির কোনো কর্মকর্তা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করলে তার দায় কমিশন নেবে না।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার বর্তমান কমিশন তা করবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ বলেন, “কোনো অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্য নিয়ে ভোটার তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত নয়। মৃত ভোটার, জাল ভোটার এবং নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে আমাদের সমানভাবে কাজ করতে হবে।”