সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বলেন, ইউক্রনকে ২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে জোটের সদস্য দেশগুলো। এটি ইউক্রেনের জন্য তহবিল সংগ্রহে নতুন রেকর্ড। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য এ বছর ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আলোচনা বিলম্বিত করছেন বলে হিলি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের জন্য ২০২৫ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর।
ইউক্রেনে নিকট ভবিষ্যতে শান্তি অধরাই থেকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। এ সময় কিয়েভের জন্য নতুন সহায়তার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৯ সাল নাগাদ আরও ১১ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা দেবে জার্মানি। এটি ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুত অর্থসহায়তার অতিরিক্ত।
এ সময় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, কিয়েভকে নিরাপত্তাসহায়তার নেতৃত্ব নিচ্ছে ইউরোপ। এ জন্য ইউক্রেন কৃতজ্ঞ বলেও জানান তিনি। অবশ্য উমেরভ বলেন, এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রও অংশ নিয়েছে। এতে দেশটি যে নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এবং আমাদের পাশে আছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল।