মুনীর চৌধুরীর লেখার মধ্যে স্বাধীন গণতান্ত্রিক ও যুদ্ধবিরোধী আকাঙ্ক্ষা ছিল উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, কবর নাটকের সংলাপের ভাষা দুর্দান্ত। কবর নাটককে এমন এক সময়ে বিবেচনা করা যাচ্ছে, যা ২০২৪–এ জাতীয়তাবাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। কবর নাটকটি একটি শক্তিশালী ভাষা।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় শাহমান মৈশান বলেন, কবর নাটকের মুর্দা ফকির চরিত্রকে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা করা যায়। মুর্দা ফকির প্রতিরোধকারী, মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়। যারা দমন করে, হত্যাযজ্ঞ চালায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। দমনমূলক রাষ্ট্রযন্ত্রের সামনে সম্ভাব্য স্বপ্ন হাজির করে মুর্দা ফকির। এই নাটক ১৯৭১ সালে মৃত্যুর মিছিল পেরিয়ে গণ প্রতিরোধের ইতিহাসের পূর্বাভাস দেয়। কবর শুধু ভাষা আন্দোলনের নয়—১৯৬৯, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানেরও নাট্য।