চেপুকের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে অপরাজেয় থাকার মর্যাদা হারালো চেন্নাই সুপার কিংস। ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসরের পর প্রথমবার চেন্নাইয়ের মাঠে চেন্নাইকে হারালো বেঙ্গালুরু। শুক্রবার রজত পতিদারের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯৬ রান করে তারা। তারপর ২০ ওভারে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ১৪৬ রানে থামিয়ে ৫০ রানে জয় পায় দলটি। ১৭ বছর পর চেপুকে ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্বাক্ষী হলো বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা।
বেঙ্গালুরু দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী করলো। তাদের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করে ভূমিকা রাখলেন। সেরা পারফর্মার অধিনায়ক রজত পতিদার। ১৭ রানে জীবন পেয়ে এবং তিনটি হাফ চান্সে বেঁচে করলেন সর্বোচ্চ রান। ৩২ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে ৫১ রান করেন রজত।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার নুর আহমেদ আগের ম্যাচে নেন চার উইকেট। চেন্নাইয়ের তিনটি উইকেট পেয়ে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে এগিয়ে গেলেন। চেন্নাইয়ের সবচেয়ে ইকোনমিক বোলার খলিল আহমেদ। পাওয়ার প্লেতে শুরুর দিকে সিম মুভমেন্ট পেয়েছিলেন তিনি। মাঝে একটি ওভার করে বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের লাগাম টেনে ধরেন এবং ১৮তম ওভারে একটি উইকেট নিয়ে শেষ করেন। চার ওভারে এই পেসার দেন ২৮ রান।
নাথান এলিসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে মাথিশা পাথিরানা ১৯তম ওভারে চমৎকার বোলিং করে বেঙ্গালুরুকে কোণঠাসা করেছিলেন। রজতের উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ওই ওভারে দেন মাত্র এক রান, তাও ওয়াইডে।
কিন্তু দুই ম্যাচে কেবল তৃতীয় ওভারে বল করতে নামা স্যাম কারান হিসাব পাল্টে দিলেন। শেষ ওভারে তাকে তিনটি ছক্কা মারেন টিম ডেভিড। ১৯ রান আসে ওই ওভারে। তাতেই ১৭৭ রানে ওই ওভার শুরু করা বেঙ্গালুরু পেয়ে যায় প্রায় দুইশ রানের পুঁজি।
৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভিড। তার আগে রজত ছাড়াও ১৬ বলে ৩২ ও ১৪ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ফিল সল্ট ও দেবদূত পাডিক্কাল। বিরাট কোহলি তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করলেও ভুগেছেন, খেলতে হয়েছে ৩০ বল।
লক্ষ্যে নেমে জশ হ্যাজেলউডের কাছে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রাহুল ত্রিপাঠী ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় আউট হন। পঞ্চম ওভারে দীপক হুদা থামেন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে।
২৬ রানে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি চেন্নাই। মাঝে যশ দয়াল ১৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন।
রাচিন রবীন্দ্র ছাড়া প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। চেন্নাইয়ের নিউজিল্যান্ড ওপেনারের ৩১ বলে ৪১ রান ছিল সর্বোচ্চ।
শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ১৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেললেও তা কেবল ব্যবধান কমিয়েছে। অবশ্য এই ইনিংস খেলে সুরেশ রায়নাকে (৪৬৮৭) টপকে চেন্নাইয়ের সর্বকালের শীর্ষ ব্যাটার হয়েছেন তিনি।
এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা ১৯ বলে ২৫ রান করেন। শিবম দুবের ব্যাটে আসে ১৯ রান। হাতে দুই উইকেট রেখে ইনিংস শেষ করে চেন্নাই।
চার ওভারে সবচেয়ে কম ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হ্যাজেলউড। দুটি করে উইকেট পান যশ দয়াল ও লিয়াম লিভিংস্টোন।