নাগরিক সেবা ব্যাহত
নোয়াখালী, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ ও ফেনী জেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক। কেউ কেউ হত্যা মামলার আসামি। কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে, কেউ হামলা থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে রয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, চেয়ারম্যান পলাতক, এমন বেশ কিছু ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান বসানো হয়েছে। কোথাও কোথাও দেওয়া হয়েছে প্রশাসক। ৭৮৬টি ইউনিয়ন পরিষদে এরই মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ফেনীর ৪৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বর্তমানে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে সোনাগাজীতে বিএনপির একজন ও দাগনভূঞার আওয়ামী লীগের দুজন কর্মরত রয়েছেন। অপর ৪০ ইউনিয়নে প্রশাসক হিসেবে হয় ইউএনও নয়তো এসি ল্যান্ড (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ভূমি) দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে কিংবা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করলে প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। চেয়ারম্যানরা বলছেন, তাঁদের অপসারণ করলে গ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। চুরি, ডাকাতি বেড়ে যাবে। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের (মেম্বার) অপসারণ না করার দাবি জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।