হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তির নাক ধুলোয় ধূসরিত হোক—যার কাছে আমার নাম উচ্চারিত হওয়ার পরও আমার প্রতি দুরুদ পড়ে না। সে ব্যক্তির নাক ধুলোয় ধূসরিত হোক—যার কাছে রমজান মাস এসে চলে যায় অথচ নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে না। সে ব্যক্তির নাক ধুলোয় ধূসরিত হোক—যে তার পিতামাতা বা তাদের একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেয়েছে কিন্তু তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেনি।’ (তিরমিজি: ৫/৫৫০, হাদিস ৩৫৪৫)
শিক্ষা
১. নবীজি (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে সংক্ষেপে হলেও দুরুদ পড়া। কেবল ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বললেও দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। তবে এতটুকুও না বলা অন্যায়।
২. রমজান গুনাহ মাফের অনন্য সময়। এ মাসে কাকুতি মিনতি করে আল্লাহর কাছ থেকে এমনভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা চাই যেন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
৩. রমজানে ইস্তেগফার, তওবা ও দোয়া থেকে গাফেল থাকা উচিত নয়।
৪. পিতা-মাতার খেদমত জান্নাতের সোপান। তাদের হৃদয়তৃপ্ত দোয়া সন্তানকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে পৌঁছে দিতে পারে।