হাথুরুসিংহে সত্যি সত্যি শারীরিকভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যেই নাসুমকে চাপড় দিয়ে থাকলে এটা যে গ্রহণযোগ্য নয়, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে যা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে, তা হলো সেই ‘অপরাধ’–এর শাস্তি এত দিন পরে কেন? ফারুক আহমেদের অবশ্য একটা বর্ম আছে, যা ব্যবহারও করছেন। তিনি তো দায়িত্ব নিয়েছেন দুই মাসও হয়নি। জুলাই–বিপ্লবের জের হিসেবে হঠাৎই বোর্ড সভাপতি হয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেননি। প্রথম বড় সিদ্ধান্ত বলতে এটাই, যা হয়তো তাঁর অগ্রাধিকার তালিকার এক নম্বরেই ছিল। এ কথা বলার একটাই কারণ, বোর্ড সভাপতি হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই তিনি এর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। যার আগে হাথুরুসিংহের ‘অসদাচরণ’ সম্পর্কে তাঁর নিশ্চিত হওয়ার কোনো উপায়ই ছিল না। তাহলে কি এটাই ধরে নেওয়া স্বাভাবিক নয় যে হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বোর্ড সভাপতি ‘কীভাবে তা করা যায়’—সেই কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন। নইলে এত দিন পর এসে কবে হাথুরুসিংহে বেশি ছুটি নিয়েছেন, কবে তা সময়মতো জানাননি—এসব পুরোনো কাসুন্দি কেন ঘাঁটা হবে?