কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন সৈকত থেকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মেলেনি। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্বীপের উত্তর সৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও বয়স ৩০-৩২ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০-৩২ বছর হবে। জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকত এলাকা সংলগ্ন সাগরে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের হাত-পা পেছন থেকে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। পরনে ছিল কালো রঙের জিন্স প্যান্ট, শরীরে সাদা শার্ট ও ফুলহাতা সোয়েটার। দুই চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের কয়েকটি চিহ্ন দেখা গেছে। লাশটি ফুলে পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এবং চামড়া খসে গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুল বাতেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, চার-পাঁচ দিন আগে হত্যা করে লাশটি সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। কারা, কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষ করে শরীরের চামড়া খসে যাওয়ায় এবং মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়ায় চেনা যাচ্ছে না। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।’