গত শনিবার সরেজমিনে সুন্দরবনের হড্ডা টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সঙ্গে সুন্দরবনে গিয়ে দেখা যায়, বনভূমিজুড়ে শূলের মতো উঁচিয়ে আছে অসংখ্য শ্বাসমূল বা বাদাবনের গাছের নাক। তার ভেতর দিয়ে হরিণের হাঁটাচলার চিহ্ন পড়ে আছে। সেই চিহ্ন ধরে গহিন বনের মধ্যে হেঁটে এগোচ্ছেন অস্ত্রধারী বনরক্ষীরা।
হড্ডা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবিত মাহমুদ বললেন, ‘শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদ উদ্ধারে আমরা প্রতিদিন বনের মধ্যে হেঁটে টহল দিচ্ছি। এর আগে অনেকগুলো ফাঁদ আমরা উদ্ধার করেছি।’
সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, লোকালয়ের পাশে ছোট নদী পেরোলেই গহিন জঙ্গল। চোরা শিকারিরা জেলে সেজে নৌকা নিয়ে দু-তিনজনের ছোট দলে বনের গহিনে প্রবেশ করে। তারা নাইলনের দড়ির একধরনের ফাঁদ হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে পেতে রাখে। চলাচলের সময় হরিণগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়। তারপর বনের ভেতর থেকে ছিলে–কেটে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করা হয়।