শাড়ির বিভিন্ন নাম
শাড়ি বা থ্রি–পিস যা–ই হোক, উৎপাদিত পণ্যের নাম এলাকার বয়নশিল্পীরাই দিয়ে থাকেন। এমন কিছু নাম হলো নাওরি, টেডি, গ্যাপ পাড়, কাটিং বুটা, মনুপুরা, জলবুটা ইত্যাদি। সময়ের সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। অন্তত পাঁচ দশক ধরে এখানে বোনা হচ্ছে ফিতাপাড়। এর চাহিদা আজও যথেষ্ট আছে।
পাবনার শাড়িবৈচিত্র্য
বয়নবৈশিষ্ট্য আর কৌশলের ওপর ভিত্তি করে পাবনার শাড়িকে তিনটি মৌলিক ভাগে ভাগ করা যায়।
১. প্লেন শাড়ি: এই শাড়ি বোনার সময় টানা আর ভরনায় নকশা হয়ে থাকে।
২. বুটি শাড়ি: এসব শাড়ি বোনার সময় হাতে নকশা তোলা হয় অথবা জ্যাকার্ডে নকশা করা হয়।
৩. নকশা পাড়: জ্যাকার্ড ও ডবিতে পাড়ের ডিজাইন করা হয়। একই পদ্ধতিতে আঁচলেও নকশা করা হয়ে থাকে। নকশার পরিমাণ কম হলে ডবিতে ডিজাইন করা হয়।
এই অঞ্চলে এই তিন ধরনের মধ্যেই বর্তমানে শাড়ি বোনা হয়। যদিও এলাকায় এসবের আলাদা পরিচয় আছে। যেমন ১. থান শাড়ি, ২. থান শাড়িতে বুটি, ৩. থান শাড়িতে ঘুঘু ডবি (চাটাই পাড়), ৪. থান শাড়িতে জ্যাকার্ড পাড়, ৫. থান শাড়িতে হুক জ্যাকার্ড (আঁচলে নকশা), ৬. স্বর্ণকাতান (কাটিং সামার নকশা)