এই নেতাদের মধ্যে খালেদ মেশাল ও আল হায়া অনেক বছর ধরেই হামাসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দুজন হিসেবে কাজ করছেন। অতীতে তাঁদের হত্যায় কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে সফল হয়নি। ১৯৯৭ সালে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কিছু সদস্য কানাডীয় পর্যটকের বেশে মেশালের কানে বিষাক্ত পদার্থ স্প্রে করেন। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার পেলে পরবর্তী সময়ে জর্ডানে কয়েকজন ইসরায়েলি গুপ্তচরকে আটক করা হয়।
শুধু ইসমাইল হানিয়া বা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নন, ইসরায়েল আগেও হামাসের একাধিক নেতাকে হত্যা করেছে। তাঁদের মধ্যে ২০০৪ সালে হত্যা করা হয় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ পরই নিহত হন তাঁর উত্তরসূরি আবদেল আজিজ রানতিজি।
প্রতিষ্ঠার পর হামাস এভাবে কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হারালেও বারবারই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে তারা কীভাবে আবার সংগঠিত হবে, তা নিয়ে বলা কঠিন। কেননা, সিনওয়ারের শাসনাধীনে হামাসের সাংগঠনিক কাঠামোয় কতটা পরিবর্তন এসেছে, সেটি পরিষ্কার নয়।
হামাসের দুই শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর সংগঠনে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গাজায় হামাসের একক সিদ্ধান্তপ্রণেতা হিসেবে তিনি অবির্ভূত হন।