কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল যশোর নতুন উপশহর এ ব্লকের শেখ মোহাম্মদের ছেলে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার সাবেক পরিদর্শক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় বাগেরহাট পুলিশের তৎকালীন (ডিআইও) পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো নোটিশ পাঠায়। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম তখন নোটিশটি গ্রহণ করেননি। ১৯৯৮ সালের ১৭ মে যশোর ডিএসবির মাধ্যমে নোটিশটি আবার বাগেরহাটে পাঠানো হলেও গ্রহণ করেননি তিনি। পরবর্তী সময়ে এ নোটিশ বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু এবারও তা গ্রহণ না করে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ জেলায় চলে যান সিরাজুল ইসলাম। ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এ নোটিশ এসপির মাধ্যমে আবার পাঠানো হয় দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোরে। কিন্তু, সিরাজুল ইসলাম এবারও সেই নোটিশ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন।
অবশেষে ২০০০ সালের ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক এমএ সোহবান আসামি শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিরাজুলকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ। সেই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।