বাংলাদেশ দলে বর্তমানে নেই কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করা ১৮ জন ফুটবলার। তাদের মধ্যে আছেন সাবিনা-মাসুরা-মনিকা-ঋতুপর্ণাদের মতো সাফ জয়ী ১৫ জন। তবে আসন্ন আরব আমিরাত সফরে তাদের শূন্যতা বোধ করছেন না বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। বরং ভালো ফল পাওয়ার আশা তার।
আজ রবিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞদের অভাব অনুভব করবেন কিনা প্রশ্নটি শুনে একটু সময় নিলেন আফঈদা। তারপর আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, ‘আমি অভাব অনুভব করছি না।’
এই সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথমটি আগামী বুধবার, দ্বিতীয়টি ২ মার্চ। খেলার জন্য সোমবার দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবে লাল সবুজ দল।
নতুন অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি অভাব অনুভব করছি না কারণ আগেও আমি এদের (বর্তমান দলের সতীর্থদের) সঙ্গে খেলেছি; অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২০ দলে একই সঙ্গে খেলেছি। সিনিয়ররা যে ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছে, আমরাও সেই ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছি।’
নতুন পুরানোদের নিয়ে গড়া দল সম্পর্কে অধিনায়কের কথা, ‘আমাদের সবার একই রকম অভিজ্ঞতা নাই, কম-বেশি থাকতে পারে। তারা হয়তো অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছে, আমরা হয়তো কম খেলেছি। কিন্তু তাদের মতোই আমরা প্র্যাকটিস করে গেছি। আমরাও একই ধারায় ধারাবাহিকভাবে খেলি।’
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে আফঈদার। এই প্রথম তিনি জাতীয় দলে নেতৃত্ব দিবেন। গত সাফে ভারতের বিপক্ষে গোল করা এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অধিনায়কত্ব করেছি। ওই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় এখানে রয়েছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি দলটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পেছন থেকে তাদের সমর্থন দিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ আমি সেই চেষ্টা করবো।’
আফঈদার দলে আছেন সাফ জয়ী ৮ জন। বাকি ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন একেবারেই নতুন। তবে অধিনায়ক দুবাই মিশন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ‘আমাদের স্ট্রাইকার লাইন ভালো আছে। ডিফেন্স, মিডফিল্ডও ভালো। আমাদের পুরা দলটাই ভালো। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো রেজাল্ট করে দেশে ফিরবো।’