রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে মো. হান্নান (৫৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হান্নান সাতটি মামলার আসামি। ‘ব্রিফকেস হান্নান’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি ‘রবিন’, ‘হান্নু’ , ‘রফিকুল’, ‘মান্নান’ ও ‘পিন্টু’ প্রভৃতি নামেও পরিচয় দেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
মতিঝিল থানার বরাত দিয়ে ডিসি তালেবুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে জনৈক মিজানুর রহমান শাপলা চত্বরের এলিট এভিয়েশনের অফিস থেকে ৯ লাখ টাকা একটি ব্যাগে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইস্টার্ন ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে রওনা করেন। তিনি মতিঝিল আইএফসি ইসলামী ব্যাংক শাখার সামনে দুপুর আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা দুই ছিনতাইকারী তার কাঁধের ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তার চিৎকার শুনে মতিঝিল থানার টহলরত পুলিশ দ্রুত এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী দুজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। টহল পুলিশ তাদের ধাওয়া করে মতিঝিলের টয়েনবী সার্কুলার রোডের হোটেল ডি-বাদশা অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার ওপর হান্নানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আর তার সঙ্গে থাকা অন্য ছিনতাইকারী দৌঁড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গ্রেফতার হান্নানসহ তার পলাতক সহযোগীর বিরুদ্ধে ডিএমপির মতিঝিল থানায় ছিনতাইয়ের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রেফতার হান্নানের বিরুদ্ধে ডিএমপির মোহাম্মদপুর, গেন্ডারিয়া, কোতোয়ালি ও পল্টন থানাসহ জামালপুর ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে ছিনতাই, চুরি, অস্ত্র ও মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হান্নানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ও পলাতক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।