সমেশপুরের অন্তত পাঁচজন চারা উৎপাদনকারী বলেন, কম সময়ে বেশি লাভ, চারা উৎপাদনে পূর্ব অভিজ্ঞতা, ভালো বীজ থেকে চারা উৎপাদন ও ক্রেতাদের আস্থার কারণে গ্রামের প্রায় সব জমিতে সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে অন্তত ১৫০ একর জমিতে চারা লাগানো হচ্ছে। সবজির চারা বিক্রি করেই গ্রামের সমৃদ্ধি বেড়েছে। এখন আশপাশের বিভিন্ন গ্রামেও বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ সেখানে চারা নিতে আসেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকার সবজির চারা বিক্রি হবে। গত বছরও এমন বিক্রি হয়েছিল। যার বড় একটি অংশ সমেশপুর থেকে বিক্রি হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সমেশপুর গ্রাম থেকে মৌসুমে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। পুরো জেলায় তা প্রায় ২০ কোটি টাকা। তিনি নিজে সমেশপুরে গিয়ে রংপুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চারা কিনতে আসা মানুষকে দেখেছেন। মূলত সেখানকার চারার গুণগত মান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন। মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা ভালো চারা উৎপাদনে তাঁদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন।