সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজসহ উভয় পক্ষেরর চারজন আহত হন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তারালী মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনুজা মন্ডল আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
বিএনপি নেতারা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনে বিএনপির দুই পক্ষ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে সোমবার বিকেল ৪টা থেকে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে একটি পক্ষ কাকশিয়ালী ব্রিজের পশ্চিমপাশে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে তারালী মোড়ে এসে সমাবেশ শুরু করে। এসময় থানা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নুরুজ্জামান পাড় ও এসএম বাবুর পক্ষের নেতাকর্মীরা তারালী মোড়ে অবস্থিত উপজেলা বিএনপি অফিস থেকে মিছিল নিয়ে বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় এক পক্ষ অপর পক্ষকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। পরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে পজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজ রয়েছেন।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে যান কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, সহকারী কমিশনার অমিত কুমার বিশ্বাস, কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ মৃধা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে ইউএনও সন্ধ্যা ৬টা থেকে উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
ইউএনও অনুজা মন্ডল বলেন, “পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। উপজেলা সদরে মাইকিং করা হয়েছে। বিষয়টি কালিগঞ্জ থানার ওসিকে মোবাইলে ও পরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।”
কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “১৪৪ ধারা জারি হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই পক্ষ এখন শান্ত রয়েছে।”
গত ৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবু স্বাক্ষরিত চিঠিতে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের দোসরকে নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করতে থাকেন তারা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ