বল হাতে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় ধাক্কা দেন সালমান আগা। তারপর দল যখন জয়ের জন্য ভালো অবস্থানে থেকেও ছিটকে যেতে বসেছিল, তখন ব্যাট হাতে শেষটা রাঙান তিনি। তার চমৎকার অলরাউন্ড নৈপুণ্য এবং সাইম আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শুভ সূচনা হলো পাকিস্তানের। শেষ দিকে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে তিন উইকেটে জিতলো সফরকারীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা আইনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে করে ২৩৯ রান। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪২ রান করে পাকিস্তান।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু। টনি ডি জর্জি (৩৫) ও রায়ান রিকেলটনের (৩৬) উদ্বোধনী জুটি ৭০ রান করে থামলো দশম ওভারে। সালমান আগার হাত ধরে পাকিস্তানের এই ব্রেকথ্রু। তারপর নিজের পরের দুই ওভারে আরও তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। ৮৮ রানে চার উইকেটের পতন!
পাকিস্তান তারপর ছন্দ হারায়। আইনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম। তাকে ৩৫ রানে ফেরান সালমান আইয়ুব। এরপর মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন ক্লাসেন। ইনিংস সেরা ৮৬ রান করে আউট হন তিনি। তার ৯৭ বলে গড়া ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছয়।
ওটনেইল বার্টম্যানকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে শেষ বল পর্যন্ত ইনিংস নেন কাগিসো রাবাদা। ২১ রানের জুটি গড়ে রান আউট হন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে সালমান সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ৩২ রান খরচ করে। দুটি পান আবরার আহমেদ।
লক্ষ্যে নেমে আব্দুল্লাহ শফিক হতাশ করেন। দ্বিতীয় ওভারে তিনি ডাক মারেন চার বল খেলে। বাবর আজম (২৩) ইনিংস বড় করতে পারেননি। মোহাম্মদ রিজওয়ান (১) বিব্রতকর ইনিংস খেলেছেন। কামরান গুলাম (৪) রান আউট হলে বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান।
৬০ রানে চার উইকেট হারানো দলটি ঘুরে দাঁড়ায় সালমান ও সাইমের ১৪১ রানের জুটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আগের ম্যাচ শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা সাইম দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন ১১২ বল খেলে। এজন্য ১০টি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি।
দলীয় ২০১ রানে বিদায় নেন সাইম। ১১৯ বলে ১০৯ রান করেন পাকিস্তানি ওপেনার। রাবাদা একই ওভারে ইরফান খানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে উত্তেজনা ফেরান।
৪৫তম ওভারে তাবরাইজ শামসি বোল্ড করেন শাহীন আফ্রিদিকে। পাকিস্তান সপ্তম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে, তখনও ৩ উইকেটে দরকার ৩১ রান!
দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তার পরের ওভারে ১১ রান দিলে পাকিস্তানের ওপর থেকে চাপ কমে। আর পেছনে ফিরতে হয়নি। সালমান পরের ওভারে ইয়ানসেনকে চার মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। যদিও বাকি সময়টা বেশ সতর্ক ছিলেন তিনি। ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে জয়সূচক বাউন্ডারি মারেন সালমান। ৯০ বলে চার চার ও দুই ছয়ে ৮২ রনে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নাসিম শাহর সঙ্গে তার অপরাজিত জুটি ছিল ৩৩ রানের।
এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকলো পাকিস্তান।