Homeদেশের গণমাধ্যমেসাংবাদিক প্রিয়কে গুলি করা এপিবিএন সদস্য

সাংবাদিক প্রিয়কে গুলি করা এপিবিএন সদস্য


ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই বিকেল ৫ টা থেকে ৫ টা ১০ এর মধ্যে ল্যাবএইড হসপিটালের পিছনে মোড় মাথার পিছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়। সেসময় সেখানে থাকা ৩০-৪০ জন এপিবিএন পুলিশ সদস্যেদের মধ্য থেকে প্রিয়র উপর গুলি চালানো হয়।

এর মধ্যে যে এপিবিএন সদস্যের গুলিতে প্রিয় নিহত হয় তাকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে প্রিয়র পরিবার।  

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে এসে আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানান।  

আন্দোলনে শহীদ হওয়া সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান বলেন, আমার ছেলে ১৯ জুলাই বিকেল ৫ টা থেকে ৫ টা ১০ এর মধ্যে ল্যাবএইড হসপিটালের পিছনে মোড় গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ছেলেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। আমাদের কাছে এ ঘটনার পুরো সিসি ক্যামেরার ভিডিও আছে। যারা মেরেছে তারা হচ্ছে এপিবিএন পুলিশ সদস্য। ৩০ থেকে ৪০ জনের মতন একটা দল সেখানে ছিল।  

প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান বলেন, আমি রংপুর থেকে এসেছি। এর আগে আমি নিউ মার্কেট থানায় মামলা করেছিলাম। আমি যেহেতু রংপুরে থাকি, আমি কোনো খোঁজখবর পাচ্ছিলাম না। তবে শহীদ সৈকতের বোনের সঙ্গে আমার সব সময় যোগাযোগ। তার কাছে জানতে পারলাম সে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। সেজন্য আমিও ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে এসেছি। গেল রবিবার এসে আমি সব খোঁজ খবর নিয়েছি। যেহেতু সব মামলা এখানে এসে বিচার কার্যক্রম হবে তাই আমি এখানে এসেছি মামলা করতে।  

তিনি বলেন, আমি আজকে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আরো কিছু নাম বাকি আছে, যে নাম গুলো আমি পরবর্তীতে পাঠিয়ে দিব।  

এই মামলায় কাদের নাম আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যারা উপর থেকে হুকুম দিয়েছে তাদের নাম। এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামও আছে। আর থানার উচ্চ যে কর্মকর্তা আছে তাদের বিরুদ্ধেও আমি অবশ্যই মামলা দায়ের করব। কারণ তাদের কারো হুকুম ছাড়া তো আমার ছেলেকে কেউ গুলি করেনি।  

প্রিয়’র মা বলেন, আমার ছেলে অনলাইন পত্রিকা দ্যা রিপোর্টে সাংবাদিকতায় কাজ করত। পাঠশালা এবং সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সে সিনেমা ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করছিল।

এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কক্ষে বসে প্রিয়র মা শামসি আরা জামান, নারী সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, প্রিয়র মামলার সকল বিষয়ে সহায়তাকারী আমিরুল রাজীবসহ বেশ কয়েকজন প্রিয়র মামলা নিয়ে আলোচনা করেন এবং ঘটনার বিভিন্ন অ্যাভিডেন্স ও সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ চিফ প্রসিকিউটারের কাছে উপস্থাপন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২,২০২৪ 
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত