চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উপজেলার নাজিরহাটে সিএনজি ও টেম্পুর সংঘর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রী (২৩) নিহত হয়েছেন।
নিহত রেহানা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে নাজিরহাট এলাকার আজম সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৪টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকার আজম সড়কে চট্টগ্রামগামী টেম্পুর সঙ্গে বিবিরহাটগামী সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা তিনজন সড়কে ছিটকে পড়েন।
স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেহানা আক্তার তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, আহতদের মধ্যে পারভেজ নামে এক যুবকের শরীর থেকে হাতের কব্জি আলাদা হয়ে যায়। তাকে উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) স্থানান্তর করা হয়। চমেকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া, সিএনজি যাত্রী অঞ্জনা দাস নামে এক নারী গুরুতর আহতাবস্থায় চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নিহত পারভেজ ও আহত অঞ্জনা দাসের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
চবির ফটিকছড়ি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, “আমাদের সহপাঠী তানিয়ার বাসা হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএনজিযোগে ফটিকছড়ির কামরাঙাপাড়ায় নানাবাড়ি যাচ্ছিলেন। নাজিরহাটের আজম সড়কে বিকাল ৪টার দিকে ওই সিএনজির সঙ্গে একটি টেম্পুর ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সিএনজিতে থাকা আরেকজন যুবকও মারা গেছে।”
রাত সাড়ে ১১টায় কামরাঙাপাড়া মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার এসআই শাহেদুল আলম জানান, টেম্পু ও সিএনজির সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুইটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালকরা পলাতক রয়েছে। পারিবারিক অনুরোধে পোস্টমর্টেম না করেই ওই ছাত্রীর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।