নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, দীর্ঘ মেয়াদে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তাব তৈরি করছে কমিশন। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনেরও সুপারিশ করবে কমিশন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন, নির্বাচনের সময় যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকে, সেগুলোর ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে বিধিমালায় কিছু পরিবর্তন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে সংশোধন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো এবং নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জায়গা তৈরি, আরপিওতে শাস্তি ও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধানগুলো কিছু ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্ট করা, হলফনামার ছকে পরিবর্তন করে প্রার্থীর বিদেশে সম্পদ থাকলে তার বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, হলফনামার তথ্য যাচাই বাধ্যতামূলক করা, ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কমিশন আগামীকাল প্রতিবেদন জমা দেবে। সেখানে কমিশনের সুচিন্তিত মতামত থাকবে। সুপারিশগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে। তিনি আশা করেন, এর মধ্য দিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে।