নতুন বছরের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শেরপুরের সব শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি নতুন বই। প্রাথমিকের সব বই জেলায় পৌঁছালেও তা সব শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে জেলায় ইবতেদায়িতে ১১ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৩৬ দশমিক ১১ শতাংশ, মাদরাসায় ২০ শতাংশ, কারিগরিতে ২০ শতাংশ নতুন বই পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বই পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত স্কুলে স্কুলে পিডিএফ প্রিন্ট করে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হচ্ছে, বই আসা মাত্র তুলে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাতে।
এ বছর শেরপুরে মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে বইয়ের চাহিদা ২৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৫টি। যার মধ্যে মাধ্যমিকে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৮, মাদরাসায় ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ এবং কারিগরিতে ৭৫ হাজার ৭৪০, প্রাথমিকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৮ বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, শেরপুরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরিতে মোট শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৪০ হাজার ২১৬ জন। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের মোট চাহিদা ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৮টি।
বছরের প্রথম ২০ দিনেও বই হাতে না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষকরা বলছেন, নতুন বই আসা মাত্রই প্রতিটি উপজেলায় সব প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সব বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান বলেন, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব হয়নি। আমরা এবার একসঙ্গে সব বই পাইনি। প্রতি সপ্তাহেই বই আসছে। নতুন বই আসা মাত্রই প্রতিটি উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের হাতে বই দেওয়া হচ্ছে না, তাদের কাছে পিডিএফ প্রিন্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান হাসান রাব্বী/জেডএইচ/জেআইএম