মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে চেষ্টা করে হতাশ হননি বলে জানিয়েছেন শ্যামল চন্দ্র বর্মণ। তাঁর ভাষ্য, ‘মেয়েরাও আমারে হতাশ করেনি। তবে ডাক্তোরি পড়াইতে নাকি অনেক ট্যাকা লাগব। কীভাবে এই খরচ জোগামু?’ বলতে বলতে তাঁর গলা ধরে আসে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘জোগাড় হয়ে যাইব। প্রয়োজনে ভিটেটা বেচায় দেব।’
একপর্যায়ে শ্রাবণীদের বাড়িতে আসেন ঢোলারহাট এস সি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মার্চেল্লো দাস। সেখান থেকেই মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন তিনি। এই শিক্ষকের মতে, পড়ালেখার প্রতি টান আর নিখাদ চেষ্টাই শ্রাবণীকে চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর পরিবারের সদস্যদের ভূমিকাও কম নয়, অভাবের সংসারে মেয়েদের পড়ালেখা চালাতে গিয়ে তাঁর মা ফসলি জমিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
ফেরার সময় হঠাৎ এই প্রতিবেদককে ডেকে নিজের জীবনের আরেকটি ইচ্ছার কথা জানান শ্রাবণী। তিনি বলেন, ‘আশীর্বাদ করবেন। নিজেকে শুধু যেন চিকিৎসক নয়, মানুষ হিসেবেও গড়ে তুলতে পারি।’