আশিকুরের পরিবারের লোকজন জানান, কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে মাথায় ঢিল লেগে আহত হন আশিকুর। তাঁকে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৮ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয় তাঁকে। আহত হওয়ার ২৮ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে তিন সাংবাদিককে আসামি করা হয়। এ মামলায় মোট ১০৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রহুল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী।
আশিক হত্যা মামলায় যে তিন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আবদুল খালেক (ফারুক), নিউজ২৪ টিভি ও দৈনিক সংবাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির (সূর্য) এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ইউসুফ আলমগীর।