Homeদেশের গণমাধ্যমেশত বছরের বিশ্ব বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন

শত বছরের বিশ্ব বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন


আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি’ অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি মিত্র দেশও। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত অনেক দেশকে বিপদে ফেলবে। ফলে তাদের প্রতিক্রিয়াও হবে সুদূরপ্রসারী।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে মনে করেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অর্থনীতি সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম। তার মতে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এই শুল্কের প্রভাব বিশাল হবে।

১৯৩০ সালে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্র আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। যা সুরক্ষাবাদ হিসেবে পরিচিত। এরপর প্রায় ১০০ বছরেও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এত উচ্চ দেখা যায়নি।

নতুন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক রাজস্ব লাফিয়ে গত এক শতকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। যা ১৯৩০ সালের রেকর্ডও অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে এশিয়ার শেয়ার বাজারে ধস নামার সম্ভাবনা প্রবল। যাই ঘটুক, এই পরিবর্তনের প্রকৃত পরিমাপ হবে দীর্ঘস্থায়ী। বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি।

স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন শুল্ক কাঠামোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। নতুন শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী, প্রায় অধিকাংশ দেশের ওপর ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোকেও বাদ দেওয়া হয়নি।

নতুন শুল্ক তালিকায় যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিয়েতনাম এবং চীন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ভারতকে ২৭ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামকে ৪৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। চীনের পণ্য আমদানির ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের শিল্পকে রক্ষা করছি, এটা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনর্জন্মের দিন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ট্রাম্প বাণিজ্যের বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছেন যা হয়ত কারো জন্যই ভালো হবে না।

এশীয় দেশগুলোর উপর শুল্ক আরোপ সত্যিই জটিল। এটি হাজার হাজার কোম্পানি, কারখানা এবং সম্ভবত সমগ্র জাতির ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দেবে।

বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর তৈরি কিছু সরবরাহ শৃঙ্খল তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙে যাবে। এর অনিবার্য প্রভাব অবশ্যই তাদের চীনের দিকে ঠেলে দেবে।

এসব বিবেচনায় ট্রাম্পের নীতির লক্ষ্য হলো- মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি শূন্যে নামিয়ে আনা। এটি বিশ্ব বাণিজ্য প্রবাহের একটি উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠন। তেমনি এশিয়ার ওপর সুনির্দিষ্ট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত