বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই মানহীন, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলায়। ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডারের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনাও বেড়েছে। গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে দুই দফা দুর্ঘটনার পর থেকে সিলিন্ডার ও যানবাহনের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে উঠে এসেছে নানা ঘাটতি ও অবহেলার চিত্র।
সরকারের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর। এই সময়ের পর সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার তাজা বোমার মতো কাজ করে।
দুটি দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রণজিৎ কুমার সাহা। তিনি জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা সিলিন্ডারগুলো উচ্চ তাপমাত্রা ও হাইড্রোলিক চাপ সহনীয় করে তৈরি করা হয়। সেখানে জোড়া থাকে না। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে দুর্ঘটনার শিকার সিলিন্ডারে জোড়া দেওয়ার আলামত দেখা গেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৪ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই বাসে ব্যবহৃত সিলিন্ডারটি সিএনজি গ্যাসের সিলিন্ডার নয়, অন্য কোনো কাজের জন্য তৈরি। এ জন্য বাসমালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন তাঁদের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।