প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের আগ্রহ দেখিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘প্রায় নয় বছর আগে বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করা এ মামলার এখন পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতির তথ্য এবং মামলার সিডি ও আলামতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র দুদককে হস্তান্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।’’
সিআইডিতে পাঠানো দুদকের চিঠিটিতে মামলাটি হস্তান্তরের কারণ তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৬ সালে ১৫ মার্চ রিজার্ভ চুরির মামলা করা হয়, যা এখন সিআইডি তদন্ত করছে। রিজার্ভ চুরির তিন বছর পর ২০১৯ সালে ওই অর্থ উদ্ধারের আশায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে একটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই মামলা খারিজে আবেদন করে আরসিবিসি। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজ করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিনসের স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোতে।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন, দেশের অভ্যন্তরের কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন। আদালত থেকে দফায় দফায় সময় নিয়েও তদন্তকাজ শেষ করতে পারেনি সিআইডি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ