জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেখা যাচ্ছে, মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করা, সহিংসতা বা চাপ সৃষ্টি করা, হামলা-হুমকির একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। সেটা অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মের নামে হচ্ছে। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে সব ধর্ম-মত, নারী—সবাই অংশ নিয়েছে। তখন গণতান্ত্রিক চৈতন্যটা খুব শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আন্দোলন শেষ হয়ে যাওয়ার পর অসহিষ্ণু বা নিপীড়ক একেকটা পক্ষ আবির্ভূত হচ্ছে।
পাকিস্তানের ২২ পরিবারের চেয়ে বাংলাদেশের ২২ পরিবার অনেক বেশি সম্পদশালী—এমন মন্তব্য করে আনু মুহাম্মদ বলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের সম্পত্তি ও লুণ্ঠনের প্রক্রিয়ায় এখনো ছেদ পড়েনি। সেই সম্পত্তি রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসার কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। কিন্তু সরকার বলছে তাদের টাকার অভাব এবং সে জন্য জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা চাপিয়েছে। দেশে বৈষম্য বৃদ্ধির বিষয়টা একটা সামগ্রিক নীতিকাঠামোর মধ্য দিয়েই এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এরশাদ, খালেদা জিয়া, হাসিনা দেখি। কিন্তু অদৃশ্য কিছু শক্তি আছে, যাদের আমরা অত বেশি চোখে দেখি না।’
শিল্প, কৃষি, অনানুষ্ঠানিক খাত, জ্বালানি-বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিকিৎসা—এসব জায়গায় কী ধরনের পরিবর্তন হলো, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ করতে গেলে তা অনুসন্ধান করে সামগ্রিক পরিকল্পনায় করতে হবে বলে উল্লেখ করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, এই পরিবর্তন করতে গেলে একটা অদৃশ্য সরকার দেখা যাবে। বাংলাদেশে একটা অদৃশ্য সরকার এসব নীতি প্রণয়ন করে, যারা কখনো আলোচনায় আসে না।