ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত যুদ্ধের ইতি না টানলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগে আছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বিষয়ে অবগত পাঁচ জনের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুদ্ধের কারণে টালমাটাল রাশিয়ার অর্থনীতি ও এর প্রভাবে ক্রেমলিনের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি ওই পাঁচ ব্যক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে এলো।
ইউক্রেন অভিযানের কারণে একগাদা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত দুবছরে তেল, গ্যাস ও খনিজ রফতানি নির্ভর রুশ অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সামলাতে উচ্চ সুদহারে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ ব্যবসার গতি কমে গেছে, তেমনি কর্মী সংকটে দৈনন্দিন কাজ কর্মও চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিয়েছেন ট্রাম্প। প্রচারণার সময় থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করে আসছেন তিনি।
ওভাল অফিসে আসার পর ইউক্রেন প্রসঙ্গে এক বক্তব্যে তিনি পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সমঝোতায় রাজি না হলে রুশ অর্থনীতি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। তিনি প্রয়োজনে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করবেন না।
আলোচনায় বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব রাশিয়া এখনও পায়নি বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন ক্রেমলিনের এক কর্মী।
এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন পুতিন। তবে তার শর্ত হচ্ছে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের খায়েশ ইউক্রেনের ত্যাগ করতে হবে এবং দেশটিতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার কব্জায় আসা এলাকার দাবি ছেড়ে দিতে হবে।
অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নিয়ে পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি ও সমঝোতা আলোচনা নিয়ে ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।