ছাত্রীনিবাসটিতে প্রায় ৩০০ ছাত্রী থাকেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের প্রতিবাদ করার জেরে ঘটনার সূত্রপাত। পরে দিনভর ছাত্রীদের ছাত্রীনিবাসে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে মালিকের দুই ছেলেকে আটক করে। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রীরা মামলা করতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বোয়ালিয়া থানার দিকে যান। তখন ছাত্রীরা জানান, তাঁদের বেশির ভাগ ছাত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতির জন্য এই ছাত্রীনিবাসে আছেন।
ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সকালে নিম্নমানের খিচুড়ি পরিবেশনের প্রতিবাদ করেন এক ছাত্রী। তিনি এই ছাত্রীনিবাসে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় মালিকপক্ষ ওই ছাত্রীকে জানায়, ছাত্রীনিবাসে ওঠার সময় তিনি যে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, সেখানে আছে যে সাত মাসের আগে ছাত্রীনিবাস ছাড়া যাবে না। ওই ছাত্রী চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে মালিক জানান, আইনজীবী ছাড়া এটা দেখা যাবে না। নিজের স্বাক্ষর করা চুক্তিপত্র দেখতে আইনজীবী লাগবে কেন, এমন প্রশ্ন তুললে ছাত্রীনিবাসের মালিক তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মালিকের দুই ছেলে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে অন্য ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।