রাগ নিয়ন্ত্রণের পুরস্কার
রাগ সংযত রাখা মুমিনের অন্যতম গুণ। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এই গুণের প্রশংসা করেন এবং যারা নিজেদের রাগ সংযত করে, তাদের তিনি তিনটি পুরস্কারের ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো, ক্ষমা করে দেবেন, জান্নাত দান করবেন, মুত্তাকিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা প্রতিযোগিতা করো তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্য, যা আকাশ ও পৃথিবীর সমান প্রশস্ত, যা সাবধানীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে ও যারা ক্রোধ সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ্ (সেই) সৎকর্মপরায়ণদের ভালোবাসেন। (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত: ১৩৩-১৩৪)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছু সংবরণে নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,১৮৯)
নবীজির (সা.) উপদেশ
একবার এক লোক রাসুলের (সা.) কাছে পরামর্শ নিতে এলো। তিনি তাকে পরামর্শ দিলেন, ‘রাগ কোরো না।’ লোকটি আরও উপদেশ চাইল। তিনি প্রতিবারই তাকে বললেন, ‘রাগ করো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৬,১১৬)
একবার তিনি সাহাবিদের জিজ্ঞেস করেন, ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি কে?’ সাহাবিরা বললে, ‘যে কুস্তিতে অন্যকে পরাজিত করে।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে কুস্তিতে পরাজিত করে সে প্রকৃত বীর নয়। বরং আসল বীর সে, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬,১১৪, মুসলিম; হাদিস: ৬.৫৩৫)