বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর যখন রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়, তখনো তাঁকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে ফকরুল আলম বলেন, রবীন্দ্রনাথকে বাঙালি মুসলমানও কম ভালোবাসেনি। গোলাম মোস্তফা, জসীমউদ্দীন, মনসুর উদদীন ও ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্—সবার সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথের সুসম্পর্ক ছিল।
প্রাবন্ধিক আলম খোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’র কথা রবীন্দ্রনাথের, কিন্তু সুর আমাদের এই পূর্ব বাংলার। তাই এ গানে সব সময়ই আমাদের অধিকার থাকে।
কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে সব সময় জাতীয়তাবাদবিরোধী ছিলেন, কিন্তু নিজে জাতীয়তার জন্ম দিয়েছেন। এটা বোধ হয় তাঁর একটা পারাডক্স। তাই তাঁর যে বৈশ্বিক চিন্তা, সেটাই আসল রবীন্দ্রনাথ।
সভাপতির বক্তব্যে মফিদুল হক বলেন, পূর্ববঙ্গের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক ও সৃজনের অনেক দিক। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, পূর্ব বাংলার শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত চর্চার একটি অন্যতম প্রধান ধারা তৈরি করেছেন, সে কথা। বাংলাদেশের প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী ওয়াহিদুল হক, জাহেদুর রহিম ও সন্জীদা খাতুনের মতো শিল্পীদের রবীন্দ্রচর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন মফিদুল হক। আলোচনা পর্বের সঞ্চালনা করেন সংস্কৃতিজন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।