এরপরের অংশে ছিল ফ্যাশন ডিজাইনার মিধাত হুদার ব্র্যান্ড দানিয়া ও ওয়ান পার্সেন্ট ক্লাবের প্রদর্শনী। দানিয়ার কালেকশনে দেখা গেছে কেপের প্রাধান্য, পাশাপাশি ছিল বোম্বার জ্যাকেট, লং জ্যাকেট, বাইকার জ্যাকেট ও ওভারকোট। দানিয়ার পোশাকে নজর কেড়েছে ডিজিটাল প্রিন্ট ও স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ।
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় স্লটে একক শো করে ঢেউ বাই সারা। ঢেউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সারাফ সাইয়ারার এবারের সংগ্রহে ছিল পশ্চিমা ধাঁচের বিভিন্ন পোশাক। নারীদের পোশাকে ছিল ডিপ নেক গাউন, অফ শোল্ডার গাউন, স্লিট গাউন, বডিকন, টপস, শার্ট, স্কার্ট ও ক্রপ টপ। আর ছেলেদের পোশাকে দেখা যায় প্রিন্টেড শার্ট, ক্যাজুয়াল হাফ শার্ট, ঢিলেঢালা প্যান্ট, শর্ট প্যান্ট ও জ্যাকেট। ছেলেমেয়ে উভয়ের পোশাকেই দেখা গেছে নেটের ব্যবহার। এই শোর পরবর্তী ধাপে দেখানো হয় পরিত্যক্ত কাপড় পুনর্ব্যবহার করে তৈরি ঢেউয়ের ফ্যাশনেবল পোশাক। এ সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাটের ডেনিমের বডিকন, জ্যাকেট, স্কার্ট, ওভারসাইজড টি-শার্ট, টপ ও প্যান্ট।
সর্বশেষ স্লটের ফ্যাশন শোতে অংশ নেয় ‘আমি ঢাকা’ ও ‘কাঁঠাল’ নামের দুটি ব্র্যান্ড। আমি ঢাকার সংগ্রহে ছিল ফুল স্লিভ ও হাফ স্লিভ টি-শার্ট, জ্যাকেট, কোটি ও বডিকন। ‘আমি কে’, ‘মা-বাবার দোয়া’, ‘আমি সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস’–এর মতো বিভিন্ন কথা লেখা ছিল আমি ঢাকার পোশাকে। আমি ঢাকার শো–র পর ছিল আগুনের বলয় হাতে একদল শিল্পীর পরিবেশনা। কাঁঠালের ফ্যাশন শোর মাধ্যমে শেষ হয় আর্কা ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিনের ফ্যাশন শো। ফুল স্লিভ টি-শার্ট, ক্রপটপ, স্লিট স্কার্ট, মিনি স্কার্ট ও বেল বটম জিন্স ছিল কাঁঠালের সংগ্রহে।