যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি ঘোষণা হওয়ার কয়েকঘণ্টা পরেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতের হামলায় গাজা শহরে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থেকেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলায় গাজার উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পর হামাসের হামলা চালানোর অভিযোগও পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে জড়িত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই জটিল যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি বুধবার কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মাসব্যাপী মধ্যস্থতার পর সম্পন্ন হয়। ১৫ মাস ধরে চলা সংঘর্ষে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং ইসরায়েল পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল থানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারীরা।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট ও সরকার অনুমোদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই চুক্তি গৃহীত হবে না। বৃহস্পতিবার চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভোটের আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে।