ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ভারত নাকি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে, যার হাতে মানুষের রক্ত লেগে আছে সেই খুনিকে আশ্রয় দেয় তারা কখনোই আমাদের বন্ধু হতে পারে না। যারা সুযোগ বুঝে শুকনোর সময় পানি আটকে রাখে আর পানির সময় বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বন্যা দেয় তারা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র হতে পারে না।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুব সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেনি। রাজনীতির নামে জাহেলিয়াত ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। শাপলা চত্বরে আলেমদের নির্বিচারে খুন করেছে। জুডিশিয়াল কিলিংয়ের নামে জামায়াতের নেতাদের নির্যাতন করে খুন করেছে। হাজার হাজার ভাইদের গুম করেছে। প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও তারা গুম হওয়া ভাইদের খোঁজ দিতে পারছে না। ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ সরকার ও তার লোকজন জামায়াত নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষকে রাতে ঘুমাতে দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু হাসিনা একটি ভুল করেছিল। সে ইতিহাস পড়েনি। নমরুদ, ফেরাউনের ইতিহাস পড়েনি। তাদের মতো শেখ হাসিবারও পরিণতি হয়েছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা নামক ফেরাউনও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।’
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ‘যারা সীমান্তে আমাদের অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে খুন করেছে। তারা বন্ধু হতে পারে না। তাদের দেশের ভুয়া মিডিয়া বলে আমাদের দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রীতি নেই। কিন্তু তারাই বাবরি মসজিদ ভেঙেছে। তারাই মুসলমান ভাইদের মারছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে তারাই।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ও জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।