রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ভারত এখনো সে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি বড় করে তুলে ধরছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়ে আসছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া ও তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্যে রাশ না টানা নিয়ে। হাসিনাকে দেশে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর দাবিও বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। ভারত সে বিষয়ে এখনো কোনো উচ্চবাচ্য করেনি।
এ অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ চায় কি না, তা তাকে আগে ঠিক করতে হবে। মুখে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলবে অথচ সরকারেরই কেউ কেউ ভারতবিরোধী মন্তব্য করবে—দুটি একসঙ্গে চলতে পারে না।
জয়শঙ্করের ওই মন্তব্যের জবাবে তৌহিদ হোসেনও গতকাল সোমবার বলেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত তারা অবশ্যই নেবে। কিন্তু ভারতকেও ঠিক করতে হবে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।