Homeদেশের গণমাধ্যমেমেয়র লিটনসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে রাবি অধ্যাপকের মামলা

মেয়র লিটনসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে রাবি অধ্যাপকের মামলা



রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ২১ আগস্ট ২০২৪  
আপডেট: ১৭:১৬, ২১ আগস্ট ২০২৪

২০১৮ সালের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করার অভিযোগে ছয় বছর পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনানা আরও ৪০-৫০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী অধ্যাপক ড. আওরঙ্গঁজীব মো. আবদুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। বুধবার (২১ আগস্ট) তিনি নিজেই রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০১৮ সালে নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের সমর্থনে চন্দ্রিমা থানাধীন পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত পোস্ট অফিসের বিপরীতে নির্বাচনী ক্যাম্প করেন। ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (২নং আসামি) ডাবলু সরকারের নির্দেশে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি-রড দিয়ে হামলা চালিয়ে ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

হামলায় আহত রাবি অধ্যাপক ড. আওরঙ্গঁজীব

এছাড়া হত্যার উদ্দেশ্যে উপস্থিত অনেককে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এতে রাবি অধ্যাপক ও তার স্ত্রীসহ অনেকে গুরুতর আহত হন। তারা বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে সাধারণ চিকিৎসা নেন। এ সময় সুজন নামের একজন শরীরে পিস্তল ঠেকিয়ে তার পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। হামলা চলাকালে ঘটনাস্থলে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।

ঘটনার ছয় বছর পর মামলা দায়েরের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আওরঙ্গঁজীব মো. আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি করার কারণে তখন কারও কাছ থেকে কোনোরকম সাহায্য পায়নি। এমনকি থানা থেকে আমার মামলা না নিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। ওই হামলায় আমি গুরুতর আহত ছিলাম। আমার স্ত্রীসহ অনেকে আহত ছিলেন। তখন নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজশাহী শহরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো সাড়া দেননি। এছাড়া রাজনৈতিক চাপ ও হত্যার হুমকিও ছিল। এজন্য এ সরকার পতনের পর গতকাল মামলা করেছি।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, পুলিশ এখনো সেভাবে কাজ শুরু করেনি। সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কার্যক্রম চলছে। তিনি (রাবি অধ্যাপক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাদের গ্রেফতার করা হবে। এজন্য একটু সময় লাগবে। কবে থেকে অভিযান শুরু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

/ফাহিম/মেহেদী/





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত