চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে একটি চক্র যেভাবে অবৈধভাবে বালু তুলেছে, এতে করে নদীর গতিপথ ও ইলিশসহ মৎস্যসম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন আবারও একটি চক্র ২০০৭ সালের বালু উত্তোলনের অনুমোদনের চিঠি দেখিয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে; কিন্তু আমরা তার কোনো অনুমোদন দিচ্ছি না। এরপরও চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিনই ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবেই হাজার হাজার ঘনফুট বালু তোলা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে; কিন্তু প্রশাসনও বসে নেই। আমাদের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে গতকাল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ মাসে মেঘনা নদীর এখলাসপুর থেকে ষাটনল পর্যন্ত এলাকায় অন্তত ২০টি অভিযান চালায়। এ সময় নদী থেকে বালু তোলার সময় হাতেনাতে ২০টি ড্রেজার, ৩০টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, ২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ২টি স্পিডবোট জব্দ করা হয়। এসব ড্রেজার ও বাল্কহেডে থাকা ১৪০ জন নাবিক-শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা করা হয় ২০টি।’