উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল, যা গতকাল সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পঞ্চগড়সহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে গত কয়েক দিন থেকে বৃষ্টির মতোই ঝরছে কুয়াশা। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। উত্তর হিমালয় দিয় বয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। এই কনকনে ঠান্ডার গ্রামের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা না মেলায় বেড়াছে শীতের তীব্রতা। হালকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মাঘের এই শীতের তীব্রতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
অপরদিকে, শীতের তীব্রতায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে ঘন কুয়াশায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।