২০১৮ সালে বিটিআরসি ঘটা করে এমএনপি সেবা চালু করলেও তা জনপ্রিয় হয়নি। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উচ্চ ব্যয় ও কঠিন শর্তকে দায়ী করেন।
শুরুতে অপারেটর বদলে খরচ ছিল ১৫৮ টাকা। এর মধ্যে ছিল অপারেটর বদলাতে গ্রাহকের ফি ৫০ টাকা, এর ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্টের ওপরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১০০ টাকা কর।
এমএনপি চালুর পর উচ্চ ব্যয় নিয়ে সমালোচনার মুখে বিটিআরসির অনুরোধে এনবিআর ১০০ টাকা সম্পূরক শুল্ক তুলে নেয়। যদিও পরে তা আরোপ করা হয়। এখন সিমকর ৩০০ টাকা। আর সব মিলিয়ে খরচ ৪০৮ টাকা।
দেশের একটি অপারেটরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষ তাঁর পুরোনো নম্বর ফেলে দিয়ে নতুন নম্বর ব্যবহার শুরু করতে চান না। তাই সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও অপারেটর বদল করা হয় না। এমএনপির খরচ যদি কম হতো, যদি শর্ত শিথিল থাকত, তাহলে বাংলাদেশেও এমএনপি জনপ্রিয় হতো।
তিনি বলেন, এমএনপির সর্বোচ্চ খরচ ৫০ টাকা হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সিমকর নেওয়া অন্যায়। কারণ গ্রাহক তো নতুন সিম কিনছেন না, তাহলে কেন কর দেবেন। আর অপারেটর বদল করে সেখানে অন্তত ৯০ দিন থাকার শর্ত এমএনপিকে নিরুৎসাহিত করছে।