Homeদেশের গণমাধ্যমেমাহে রমজানে তারেক রহমানের উপহার পেল শহীদ রাকিবের পরিবার

মাহে রমজানে তারেক রহমানের উপহার পেল শহীদ রাকিবের পরিবার


গেল ১৯ জানুয়ারি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ হাফেজ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। নতুন অতিথির আগমণের দুই দিন পর ২১ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সোনার আংটি দিয়ে বরণ শহীদ কন্যাকে বরণ করে নেয় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু।

এবার পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের পরিবারকে মাহে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী উপহার দেয়া হয়েছে।

শনিবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের পুনাইল গ্রামে রাকিবের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও নবজাতক কন্যা সন্তান সাবরিনা বিনতে সিদ্দিকার সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে যুবদল নেতা পাপ্পু মাহে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী রাকিবের স্ত্রীর কাছে তুলে দেন।

উপহার দেয়া পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আটা, দুধ, চিনি, ডিম, মুরগি, মুড়ি, খেজুর, ছোলা, ট্যাংক, লবন, বেসন, সেমাই, নুডুলস।

শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, পাপ্পু ভাই সবসময় আমাদের সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি আমার মেয়ের জন্য আংটি উপহার নিয়ে এসেছিলেন। আজকে রমজানের পণ্য সামগ্রী উপহার দিয়ে গেছেন। এতে আমরা খুশি ও আনন্দিত। পাশাপাশি আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীর বিচার ও মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভুত্থানে ২০ জুলাই কারফিউ ভঙ্গ করে আমরা কলতাপাড়া বাজারে অবস্থান নেই। ওইদিন রাকিব আমাদের সাথে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ যান। গত ১৯ জানুয়ারি রাকিবের স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আমরা নতুন অতিথিকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সোনার আংটি দিয়ে বরণ করেছি। আজকে রমজান উপলক্ষে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রাকিবের পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি রাকিবের স্ত্রী ও কন্যার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যত যেন তারা নিশ্চিত করে।

শহীদ নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিবের শ্বশুর সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার জামাতা রাকিব নিহতের পর আমি স্ট্রোক করে কর্মক্ষম হয়ে পড়েছি। আমার মেয়ে ও নাতনি এখন আমার বাড়িতেই বসবাস করছে। কিন্ত এখন আমার তো আগের মতো আয়-রোজগার নেই। সংসারে কিছুটা টানাটানি আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমার মেয়ে নাতনির পাশে যেন তারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়। তাদেরকে যেন সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করে।

প্রসঙ্গত, নূরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগেপালপুর ইউনিয়নের দামগাও গ্রামের আব্দুল হালিম শেখের ছেলে। গত বছরের ১২ জানুয়ারি রাকিব বিয়ে করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে। গত ২০ জুলাই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে গৌরীপুরের কলতাপাড়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হন রাকিব। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত