‘আমার বোনের অস্তিত্ব শেষ হইয়া গেল। আমার বোনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পোলাপানগুলাও মারা গেল। আমরা কেমনে ঠিক থাকমু। মানুষ একটা শোক ভুলতে পারে না, আমরা কেমনে চারটা শোক ভুলমু!’ বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপায় নিহত আমেনা আক্তারের ছোট বোন জোছনা আক্তার।
আমেনা ও জোছনা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত সুমন খানের মেয়ে। টোল প্লাজার দুর্ঘটনায় নিহত জোছনার স্বজনেরা হলেন তাঁর বড় বোন আমেনা আক্তার (৪০), আমেনার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মণি (১১), আমেনার নাতি আইয়াজ হোসেন (২)।
স্বজনেরা বলেন, আমেনা বেগম শুক্রবার সকালে রাজধানীর জুরাইনের কমিশনার রোডের বাড়ি থেকে বড় মেয়ে ইসরাত জাহান, মেজ মেয়ে অনামিকা (২০), ছোট মেয়ে রিহা মণি, অনামিকার ছেলে আইয়াজ হোসেন, অনামিকার স্বামী সোহান (২৮) এবং অনামিকার ননদ নাদিয়া আক্তারকে (১৭) নিয়ে প্রাইভেট কারে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের প্রাইভেট কারটি কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী সেতুর টোল পরিশোধ করার সময় বাসচাপার শিকার হয়। এ ঘটনায় আমেনাসহ প্রাইভেট কারে থাকা চারজন হাসপাতালে মারা যান।
একই ঘটনায় এই চারজন ছাড়াও মারা যান টোল প্লাজায় থাকা মোটরসাইকেল আরোহী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আমেনার মেয়ে অনামিকা, অনামিকার স্বামী মো. সোহান, সোহানের বোন নাদিয়া আক্তার (১৭) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।