প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক বলেন, ‘দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। সব নেতা-কর্মীকে সুসংগঠিত করতে হবে। দল কাকে নমিনেশন (মনোনয়ন) দেবে পরের ব্যাপার। কেউ কারও পিছে লাগব না, কেউ কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করব না। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ধানের শীষের প্রার্থীকে জেতাতে হবে।’ বক্তব্যের সময় সাবেক এই সংসদ সদস্য দাবি করেন, মাগুরা-২ আসন থেকে সরানোর জন্য দলের ভেতরের একটি অংশের ষড়যন্ত্রে তাঁকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম। তাঁর বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে। সম্প্রতি মাগুরা-২ আসনের বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন এই যুবনেতা। সমাবেশে বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলন–সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু দলের মধ্যে কিছু নেতা আছেন, যাঁরা বিভেদ সৃষ্টি করে বিএনপির ভিত দুর্বল করতে চান। ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে রেখেছেন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। এই যুদ্ধ শেষ হবে আগামী নির্বাচনে মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর জয়ের মাধ্যমে।’ তিনি দাবি করেন, কাজী সালিমুল হক কারাগারে যাওয়ার পর একটি পক্ষ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের কোণঠাসা করে রেখেছিল। তারা এখন জোট বেধেছে।