Homeদেশের গণমাধ্যমেমহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, মহাসড়ক অবরোধ

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, মহাসড়ক অবরোধ


ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ও অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তৌহিদী জনতা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের মোহনপুর টোলপ্লাজার সামনে এই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ওই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারকারী এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর বিকাল ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং কটূক্তিকারী ওই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করায় ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যদিও তার পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন।

এর আগেও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলার মোহনপুর টোলপ্লাজার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন তৌহিদী জনতা। পরে জড়িতের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেফতার করা হবে- প্রশাসনের এমন আশ্বাসে বিকালে অবরোধ প্রত্যাহার করেছিলেন তারা। এই ঘটনার পর আবারও শনিবার মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণা মোতাবেক সকাল থেকেই স্থানীয় মুসল্লিরা মোহনপুর টোলপ্লাজায় এসে জড়ো হন। সকাল ৯টা থেকে মহাসড়কের পাশে তারা বিক্ষোভ করে ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকালে কটূক্তিকারী তরুণের স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করায় ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। পরে বিকাল ৩টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। 

জানা গেছে, বুধবার সদর উপজেলার এক যুবক মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রাতেই সেটি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। রাতে পুলিশ ওই যুবকের বাড়িতে গেলেও তাকে আটক করতে পারেনি।

আন্দোলনকারী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তবে এই ঘটনার পর থেকেই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত