এই সময় আড্ডার ওই সহকর্মী আরও বলেন, ‘আজ মনি কিশোরকে আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে দাফন করতে হয় কেন? অথচ শিল্পীদের সংগঠনের কেউ কোনো খবরও রাখেননি। কেউ বলেনি লাশটা দায়িত্ব নিয়ে দাফন করা হোক। এর চেয়ে হতভাগ্য আর কোনো শিল্পীর হয়েছে। মনি নিজেও জানত, সে মরে গেলে এমনই হবে। শিল্পী হয়েই আমরা শিল্পীদের সম্মান দিতে পারি না।’
‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’, ‘মুখে বলো ভালোবাসা’, ‘আমি মরে গেলে তুমি জানি কাঁদবে না’, এমন বহু গানের এই শিল্পী নীরবেই থাকতে পছন্দ করতেন। চলতেন সাধারণ যেকোনো মানুষের মতো। ভক্তরাও তাঁকে চিনতে পারতেন না। পপি ভবনের পাশের বাসার দারোয়ান আসাদ আলী আফসোসের সুরে বলেন, ‘মনি স্যারকে বহুদিন ধরেই চিনি। কিন্তু তিনি যে গায়ক সেই মনি কিশোর, এটা জানতাম না। কলেজে পড়ার সময় তাঁর গান নিয়মিত শোনতাম। তাঁর অ্যালবাম কিনেছি। তিনি আমার পছন্দের শিল্পী। কিন্তু গতকাল জানতে পারলাম, তিনি সেই মনি কিশোর। আগে জানলে তো ছবি তুলে রাখতাম।’