মোহাম্মদ মুশতাক মিঞার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার হাজীর পাড়া গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয়েছে মাধ্যমিক পাস। প্রথম আলোর একজন প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর দুপুরে মোহাম্মদ মুশতাক মিঞাকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দেখতে পান। এ সময় তাঁর ব্যবসা ও ব্যাংক হিসাব নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি ইতস্তত বোধ করেন। সরে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাংকঋণের কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, যখন তাঁর নামে এই ঋণ নেওয়া হয়, তখন সেটা তিনি জানতেন না। কীভাবে টাকা পরিশোধ করবেন জানতে চাইলে বলেন, তিনি জানেন না।
গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানান, হাজীর পাড়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে মুশতাক মিঞা। এক চাচা তাঁকে লালন-পালন করেছেন। ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি আকিজ উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন মুশতাক মিঞা। পাশাপাশি আকিজ উদ্দিনের বাসার দেখভালও করেন। সবজরপাড়ায় আকিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে মুশতাক মিঞার বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমেরও আদি নিবাস চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই গ্রামের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি ব্যবহার করে ব্যাংকঋণ নেওয়া হয়েছে, যার বিনিময়ে তাঁরা প্রতি মাসে ভাতা পান।
মোহাম্মদ মুশতাক মিঞার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চাল-ডালের ব্যবসা করতে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছিল। তবে ব্যবসা করা হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আকিজ সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।