অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে কঠিন পরীক্ষা দিতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতা ক্লাবটি শুরুতেই গোল হজম করে। তাতে দুই লেগ মিলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচে টিকে থাকে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। এরপর ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে রিয়াল। দুই লেগের অগ্রগামিতায় নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ২-২ এ শেষ হয়। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ডিয়েগো সিমিওনের দল শুরুটা দারুণ করে। ২৭ সেকেন্ড যেতেই গোলমুখের কাছ থেকে জাল কাঁপান স্যামুয়েল লিনোকে ছাপিয়ে অ্যাতলেতিকোর প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া কনর গ্যালাঘার। ৭০তম মিনিটে রিয়াল পেনাল্টি পায়। বক্সের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউ করেন ক্লেমন্ত লংলে। কিন্তু ১২ গজ দূর থেকে নেওয়া ভিনিসিয়ুসের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
এই মৌসুমে আরেকবার রিয়ালের পেনাল্টি সমস্যা দৃশ্যমান হলো। এমবাপ্পে দুইবার মিস করার কারণেই সম্ভবত ভিনিসিয়ুসকে পেনাল্টি শট নিতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনিও সুযোগ নষ্ট করেন।
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় শেষেও অ্যাতলেতিকো দ্বিতীয় লেগের খেলা ১-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ করে। পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম চেষ্টাকেই গোল বানায় দুই দল। তবে দ্বিতীয় শটে জুলিয়ান আলভারেজের গোল রেফারি বাতিল করে দেন। ডান পায়ে শট নিতে গিয়ে সামান্য পিছলে যাওয়ায় তার বাঁ পা বলে লাগে। বলে দুইবার পা লাগায় বাতিল হয় গোল, নয়তো ২-২ গোলে সমতায় থাকতো অ্যাতলেতিকো। রিয়ালের চতুর্থ শট নেওয়া লুকাস ভাসকেসকে থামিয়ে অ্যাতলেতিকোকে ম্যাচে ফেরান ইয়ান ওবলাক। কিন্তু মার্কোস লরেন্তের ডান পায়ের শটে গোলবারে বল আঘাত করলে ফের পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পঞ্চম শটে অ্যান্তনিও রুডিগার জাল কাঁপালে রিয়াল জয়ের আনন্দে ভাসে।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল খেলবে আর্সেনালের বিপক্ষে।