Homeদেশের গণমাধ্যমেব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা নিয়ে বাণিজ্য, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা নিয়ে বাণিজ্য, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হিড়িক পড়েছে। এ পর্যন্ত শুধু সদর মডেল থানায় এক ডজন হত্যা, বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় গড়ে দুই শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামি হয়েছেন জেলার কয়েকজন সাংবাদিকও। এর মধ্যে প্রবাসে থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন মো. বাছির দুলাল এবং মো. রাসেল। একপ্রকার মামলা নিয়ে শুরু হয়েছে বাণিজ্য। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ মামলা আতঙ্কে ভুগছেন। কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানায় মামলা নথিভুক্ত হওয়ার আগেই শহরের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে এজাহারের কপি নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। আরেকটি চক্র মামলার কপি ও আসামিদের তালিকা পাঠাচ্ছে বিভিন্ন জনের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে জানিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা ভুয়া বলেও পুলিশের নজরে এসেছে। ফলে সদর মডেল থানার পক্ষ থেকে এই জাতীয় প্রতারণা থেকে সাবধান হতে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি প্রতারক চক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি কম্পিউটারে এজাহারের কপি তৈরি করে ২০০-৩০০ বা তার অধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলার অভিযোগ লিখে তা ফেসবুকে প্রচার করছে। মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়া ও মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা আদায় করে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তারা। এ ধরনের অভিযোগ দেখে আতঙ্কিত হয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘প্রতারক চক্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম লিখে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জেনেছি আমরা। থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের কিংবা মামলা হলে প্রতি পাতায় স্বাক্ষর ও সিল থাকে। ভুয়া অভিযোগ ও এজাহারে এগুলো থাকে না। ভুয়া অভিযোগ ও এজাহার প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতারকদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য (০১৩২০-১১৪৯৮১ (অফিসার ইনচার্জ, সদর মডেল থানা), ০১৩২০-১১৪৯৮৬ (ডিউটি অফিসার) এসব নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি আমরা।’

গত প্রায় তিন মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে। গত ২৮ অক্টোবর ৩৫০ জনের নামে একটি এবং ২৫ অক্টোবর ২৪০ জনের নামে আরেকটি মামলা হয়। এসব মামলা নথিভুক্ত হওয়ার আগেই এজাহার ও আসামিদের নাম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত