Homeদেশের গণমাধ্যমেব্যাংকের প্রতিটি শাখায় স্কুল ব্যাংকিং চালু করতে হবে

ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় স্কুল ব্যাংকিং চালু করতে হবে


সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক শাখাকে নিকটবর্তী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্কুল ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নিয়মিত ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানে আর্থিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হিসাব খোলা ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামীকাল সোমবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

স্কুল ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অধিকতর সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংক শাখার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার নীতি নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংককে তাদের প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবা–সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ নীতির আওতায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো হলো- জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে প্রতিটি ব্যাংককে নিকটবর্তী শাখার মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি সেই ব্যাংক শাখা থেকে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা/পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের বিষয়ে ব্যাংকগুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে, যেন এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক ব্যাংক যুক্ত না হয়। হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা এবং এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা আর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা/উপজেলার স্কুল ব্যাংকিং–সংক্রান্ত কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাংক শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অবহিত করবে এবং প্রতিবেদন দেবে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ ও আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়মিত ভিত্তিতে তথ্য জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের ১০ হাজারের বেশি ব্যাংক শাখা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে চার লাখের বেশি। প্রাথমিক ভিত্তিতে একটি করে স্কুল নির্বাচন করে কাজ শুরু করা হবে। এতে আর্থিক শিক্ষা ধীরে ধীরে বাড়বে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যপূরণে তা সহায়তা করবে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত