গাজীপুরের কাশিমপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। এতে যানবাহন আটকে পড়ে দুর্ভোগে পড়েন এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, যানবাহনের চালক এবং পথচারীরা। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা গণপরিবহন ভাঙচুর, সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এতে চার সাংবাদিক আহত হন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে মহানগরীর চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের কাশিমপুর (মৌজার মিল) এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা। হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন– দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, এটিএন নিউজের চিত্র সাংবাদিক শাহ জালাল, বাংলা ভিশনের চিত্র সাংবাদিক আমির হোসেন রিয়েল এবং দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের কালিয়াকৈর প্রতিবেদক আবু সাঈদ।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্পপুলিশ জানায়, কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কয়েক দফা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। গত ২১ ডিসেম্বর বিক্ষোভে শ্রমিকদের কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ৪২ হাজার শ্রমিক একত্র হয়ে গণসমাবেশ করেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বুধবার বেলা ৩টা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। এ সময় মহাসড়কে অবরোধে আটকে পড়া যানবাহন ভাঙচুর করে তারা। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ফোনে গণপরিবহন ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গাজীপুর শিল্পপুলিশ ২-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু তালেব জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।