প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভাই–বোন স্বপ্ন তরী, মা শীতলক্ষ্যা, জয় মা কালী, মোবাইল বাচাড়ি ও তুফান নামের পাঁচটি নৌকা। নৌকাগুলোর যেমন বাহারি নাম, দেখতেও দৃষ্টিনন্দন। দারুণ প্রাণোচ্ছল তার মাঝি-মাল্লার দল। নদীর বুকে তাঁদের ছুটে চলা ও বইঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে নদীর দুই পাড়ে থাকা হাজারো দর্শনার্থী। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকাবাইচ লোকায়ত বাংলার লোকসংস্কৃতির যে অংশ, তা ভুলে যায়নি বাঙালি। তাই তো হেমন্তের বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নদীপাড়ে মানুষের ঢল নামে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থেকে পরিবার নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছেন ইজিবাইকচালক মো. সেলিম শেখ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে নৌকাবাইচ দেখার অভ্যাস। এটি আমার খুবই প্রিয়। তাই পরিবার নিয়ে আনন্দ করার জন্য এখানে এসেছি। বৃষ্টির মধ্যেও অনেক লোক খাটাখাটুনি করে বাইচ দেখার জন্য এসেছে।’
টুঙ্গিপাড়া থেকে আসা মোস্তাফিজ মোল্যা বলেন, ‘নৌকাবাইচের কথা শুনে এখানে এসেছি। কিন্তু সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে বাইচ হবে কি না।’